WBP ইন্টারভিউ পার্ট -5
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে কয়টি মহিলা থানা রয়েছে?
-40 টি
WBP Interview part-6
১) পরীক্ষাকেন্দ্রে কখন পৌঁছতে হবে?
নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে এবং তোমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।
২) তোমাদের পোশাক, মুখভঙ্গি এবং চুলের স্টাইল কেমন হবে?
তোমাদের পোশাক হবে ফর্মাল এবং হালকা কালারের জামা পড়তে হবে। জুতো পালিশ করা চকচকে থাকতে হবে। চুল ,দাড়ি সুন্দর করে কাটা থাকবে। মুখ্য ভঙ্গিতে যেন শান্ত এবং ধৈর্যশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়।
৩) ইন্টারভিউ কক্ষে কিভাবে ঢুকবে এবং ঢুকে কি বলবে?
যে ঘরে ইন্টারভিউ হবে সেই ঘরের দরজা বন্ধ থাকবে। তোমাকে দরজাটি আস্তে করে খুলতে হবে এবং স্যারদের অনুমতি নিয়ে ঘরে ঢোকার পর দরজাটি আস্তে করে বন্ধ করতে হবে যাতে, তোমার দ্বারা দরজায় কোন শব্দ না হয়। দুপুর বারোটার আগে হলে তোমাকে গুড মর্নিং এবং দুপুর বারোটার পরে হলে তোমাকে গুড আফটারনুন বলতে হবে। তারপর যখন স্যারেরা তোমাকে চেয়ারে বসার সম্মতি দেবে তখন তুমি "ধন্যবাদ "বলে চেয়ারে বসবে। চেয়ারে বসতে গিয়ে যেন চেয়ারের কোন শব্দ না হয়। সুন্দর করে ডকুমেন্টগুলো নিজের থাইয়ের উপর গুছিয়ে রাখবে এবং যখন স্যারেরা ডকুমেন্ট দেখতে চাইবেন তখন তুমি ডকুমেন্টগুলো দেখাবে।
৪) তোমার নামের আক্ষরিক অর্থ
তোমার নামের অর্থ তোমাকে জানতেই হবে। এবং তোমার নামের সঙ্গে কোন পৌরাণিক চরিত্র বা কোন সেলিব্রেটির নামের মিল আছে কিনা সেটাও জেনে নিতে হবে।
৫) যদি বলা হয় তুমি কোথায় থাকো-সেক্ষেত্রে তোমার উত্তর কি হবে?
যখন তোমাকে প্রশ্ন করা হবে তুমি কোথায় থাকো?
তখন তুমি যে জায়গায় থাকো সেই জায়গার নাম উল্লেখ করবে এবং তার সাথে জেলার নাম উল্লেখ করবে।
তুমি যে জায়গায় থাকো সেই জায়গার কোন ঐতিহাসিক বা ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য যদি থেকে থাকে তবে সেটা তোমাকে জানতে হবে। বা সেই জায়গা যদি কোন মনীষীর জন্ম স্থান হয় তবে তোমার ওই মনীষী সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।যদি তোমার জেলায় কোন স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে থাকে তবে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামী কোন আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন সে সম্পর্কে তোমাকে জানতে হবে।তুমি যে জায়গায় বসবাস করো বা তোমার জেলার যদি কোন দর্শনীয় স্থান থেকে থাকে সেই সম্পর্কে তোমার সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
তুমি যেখানে বসবাস করো বা যে জেলায় বসবাস করো সেখানে যদি কোন বিখ্যাত খেলোয়াড় থেকে থাকে তবে সেই খেলোয়ার কোন খেলার সঙ্গে যুক্ত সেটা তোমাকে জানতে হবে।
৬) তোমার পরিচয় ঠিকানাসহ বলবে কিভাবে?
প্রথমে তুমি তোমার নাম বলবে । তারপর তুমি তোমার বাবার নাম বলবে এবং তোমার পরিবারের কতজন সদস্য আছে তা বলবে। তোমার বাবা কি করেন ,মা কি করেন তা উল্লেখ করবে। এরপরে তোমার অ্যাক্যাডেমিক কোয়ালিফিকেশন গুলো পর পর করে বলবে। প্রথমে মাধ্যমিক ,তারপর উচ্চমাধ্যমিক, তারপর গ্রাজুয়েশন। কোন কলেজ থেকে বা কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে সেটা তোমাকে বলতে হবে।
৭) তুমি বর্তমানে কি করো?
তুমি বর্তমানে যা করো সেটাই বলবে। যদি তুমি কোন কোর্স করো তার উল্লেখ করবে। বা যদি তুমি পড়াশোনা করো সেটা তুমি উল্লেখ করবে। তবে সবসময় সত্যের আশ্রয় নেবে।তোমার কথা শুনে যেন স্যারদের মনে হয় যে তুমি বসে নেই, কোন কিছুর সাথে যুক্ত আছো।
৮) আগে কোনরকম সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করেছ কিনা?
তুমি যদি কোন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করে থাকো সেখানে তুমি সেটা বলবে ।আর যদি পাশ করে না থাকো সেটাও বলবে ।তবে সত্যি বলবে।
৯) তোমার হবি কি?
"হবি "কথাটার অর্থ "শখ"।এক্ষেত্রে তুমি যে উত্তরটা দেবে সে বিষয়ে যেনো তোমার যথেষ্ট জ্ঞান থাকে। এমন কোন বিষয় বলতে যাবে না যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই। যদি তোমার হবি খেলা হয় তবে যে খেলাটি তোমার ভালো লাগে সেই খেলাটি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যদি তোমার হবি গল্পের বই পড়া হয় তবে কোন লেখকের এর বই পড়তে তোমার ভালো লাগে এবং সেই লেখক এর কি কি বই তুমি পড়েছো তার উল্লেখ করতে হবে।
১০) কোন বিষয়টি তোমার সব থেকে ভালো লাগে?
এক্ষেত্রে তুমি যথার্থই তোমার সেই বিষয়ের কথা উল্লেখ করবে যে বিষয়টি তোমার ভালো লাগে। যে বিষয়ে পারদর্শিতা আছে সেই বিষয়ের কথাই উল্লেখ করবে।
১১) তুমি পুলিশে কেন যোগ দিতে চাও?
এক্ষেত্রে তোমার উত্তরটি এরকম হবে- "ছোটবেলা থেকেই আমাকে "পুলিশ " শব্দটি অনুপ্রেরণা দিয়েছে। পুলিশের পোশাক পরিধান করা আমার স্বপ্ন। এবং আমি স্বপ্ন দেখি পুলিশ হয়ে মানুষের সেবা করব, সমাজের সেবা করব। এবং মানুষের মনে পুলিশ সম্পর্কে যে নেতিবাচক ভাবনা আছে তা দূর করার চেষ্টা করব"।
১২) তুমি এর থেকে ভালো চাকরি পেলে পুলিশের চাকরি কি ছেড়ে দেবে?
- এক্ষেত্রে তোমার উত্তরটি এইরকম হবে- আমি অন্য কোন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেব না বা অন্য কোন পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করবো না। কিন্তু যদি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এর উচ্চতর পদের জন্য লোক নেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে আমি আবেদন করব। সেটা আমার ভবিষ্যৎ আরো বেশি উজ্জ্বল করবে।আমি পুলিশের চাকরি ছেড়ে অন্য কোন চাকরিতে যেতে ইচ্ছুক নই।
১৩) চাকরিরত অবস্থায় তোমার স্যার ঘুষ নিচ্ছে -এই অবস্থায় তোমার করণীয় কি?
এক্ষেত্রে তোমাদের উত্তরটি ডিপ্লোমেটিক ভাবে দিতে হবে। কারণ যদি তোমরা অতি সাধারণভাবে প্রশ্নের উত্তরটি দাও তাহলে স্যারদের কাছে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে তুমি এরকম ভাবে বলতে পারো- " আমার পরিচয় অজ্ঞাত রেখে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রমাণসহ এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবো। এর ফলে আমি আমার স্যারের ক্রোধের থেকে বাঁচব এবং আবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হবে।
১৪) তোমাকে যদি উপরমহল থেকে ঘুষ দেয় তাহলে কি তুমি নেবে?
- তোমার উত্তর হবে - "কখনোই না স্যার"।
এর ঠিক পরেই তোমাকে প্রশ্ন করা হবে - টাকাটা যদি মোটা অংকের হয় তাহলে কি তুমি ঘুষ নেবে না? টাকাটা তো তোমার জীবনের অনেক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে
তোমার উত্তর হবে-"স্যার আমি পুলিশের চাকরিটা পছন্দ করি। পুলিশ শব্দ টা আমাকে ছোটবেলা থেকে অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছে। আমি সমাজের সেবা করতে চাই , দুর্নীতির বিরোধিতা করতে চাই,অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই।আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করাটাই যদি আমার লক্ষ্য হয় তাহলে আমি নিজে অন্যায় কি করে করি। আমার দ্বারা ঘুষ নেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব হবে না। ঘুষ নিলে আমি সমাজের কাছে,আমার পরিবারের কাছে, সর্বোপরি নিজের কাছে ছোট হয়ে যাব। আমি এমন কাজ করতে পারবো না যাতে কোন জায়গায় আমার মাথা নত হয়।
১৫) পুলিশের চাকরিতে অনুষ্ঠানে কোনো রকম ছুটি পাওয়া যায় না এবং তুমিও কোনরকম ছুটি পাবে না।তারপরও তুমি অন্য কোন চাকরি না করে এত কষ্টের চাকরি কেন করতে চাইছো?
এক্ষেত্রে তোমার উত্তরটা হবে এইরকম-
স্যার আমি পুলিশের চাকরি পছন্দ করার আগেই জানতাম যে, পুলিশের চাকরি হলো একটা সেবামূলক কাজ।পুলিশের চাকরির অন্যতম অর্থ হল ত্যাগ। নিজেকে উৎসর্গ করে দেওয়া ,উজার করে দেওয়া। আমি সমাজের সেবা করতে চাই। আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুলিশ সবার আগে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে মানুষের পাশে। আমি এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। পুলিশের চাকরি পছন্দ করার আগেই আমি নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছি। আমার কাছে কোনো অনুষ্ঠানে সময় কাটানো বড় ব্যাপার নয়, পুলিশের ডিউটি টা আমার কাছে অনেক বড়।
১৬) তোমার বেতন দরকার না পদ?
এক্ষেত্রে তোমার উত্তরটি হবে এইরকম- স্যার আমার অবশ্যই পদ দরকার, কারণ পদোন্নতি হলে আমার বেতন স্বভাবতই বাড়বে।
১৭) ইন্টারভিউ শেষে কি করবে?
ইন্টারভিউ শেষে যখন তোমাকে যেতে বলা হবে তখন তুমি ধন্যবাদ বলে দুই পা পেছনে আসবে। তারপর স্বাভাবিকভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে। কোন তাড়াহুড়া করবে না।
No comments:
Post a Comment