WBP Interview class-11
পশ্চিমবঙ্গের জেলা পরিচিতি
নদিয়া জেলা
১) নদিয়া জেলা (পূর্বনাম নবদ্বীপ জেলা) ভারতে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার উত্তর-পশ্চিমে ও উত্তরে মুর্শিদাবাদ জেলা; পূর্ব সীমান্তে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ, দক্ষিণ-পূর্বে ও দক্ষিণে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা এবং পশ্চিমে হুগলি ও বর্ধমান জেলা অবস্থিত।
*নদিয়া জেলার পুরানো বানান নদীয়া জেলা
২) নদীয়া জেলার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
-কৃষ্ণনগর
৩) নদীয়া জেলার পূর্ব নাম কি ছিল?
-নবদ্বীপ জেলা
৪) নদীয়া জেলা কত সালে তৈরি হয়েছে?
-1787 সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজত্বকালে জেলা হিসেবে নদীয়ার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেসময় বর্তমান হুগলি ও উত্তর 24 পরগনা জেলার কিছু অংশ এই জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।1947 সালের 15 ই আগস্ট সাময়িক ভাবে এই জেলা পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনদিন বাদে 18 ই আগস্ট কিয়দংশ বাদে নদীয়া পুনরায় ভারত অধিরাজ্য অন্তর্ভুক্ত হয়। 1948 সালে 23 শে ফেব্রুয়ারি নদীয়াজেলা তার বর্তমান রূপটি লাভ করে। 1947 সালের সাময়িকভাবে জেলার নামকরণ নবদ্দীপ করা হলেও অনতিবিলম্বে সেই নামকরণ বাতিল হয়।
৫) নদীয়া জেলার নামের অর্থ কি?
-কথিত আছে ভাগীরথী নদীর তীরে এক তান্ত্রিক প্রতিদিন সন্ধ্যায় নয়টি প্রদীপ বা দিয়া জ্বালিয়ে তন্ত্র সাধনা করতেন।দূর থেকে লোকে দেখে এই দ্বীপটিকে ন' দিয়ার চর বলতো। আর সেই থেকেই নদীয়া নামের প্রচলন হয়।
৬) নদীয়া জেলার ভূপ্রকৃতি
গঙ্গা-ভাগীরথী ও তার অন্যান্য উপনদী দ্বারা গঠিত নদিয়া জেলা মূলত বিশাল গাঙ্গেয় সমভূমির একটি অংশ। এই জেলা গঙ্গার পরিণত বদ্বীপের অন্তর্গত। জলঙ্গী ও চুর্নীর প্রবাহ এই অঞ্চলের ভূমিরূপ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
৭) নদীয়া জেলার জলবায়ু
নদিয়া জেলার জলবায়ু উষ্ণ আর্দ্র ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির। কর্কটক্রান্তি রেখা জেলার মাঝামাঝি দিয়ে যাওয়ায় গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়। গ্রীষ্মকালের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড় উষ্ণতা যথাক্রমে ৪৩° সেন্টিগ্রেট ও ১৯° সেন্টিগ্রেট। অন্যদিকে শীতকালের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড় উষ্ণতা যথাক্রমে ৩০° সেন্টিগ্রেট ও ০৯° সেন্টিগ্রেট। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২০০-১৪০০ মিলিমিটার। অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হয় বর্ষাকালেই।
৮)নদীয়া জেলার লোকসভা কেন্দ্র এবং বিধানসভা কেন্দ্র কয়টি?
-লোকসভা কেন্দ্র 2টি ,বিধানসভার আসন 17 টি
৯) পুলিশ জেলা-
নদীয়া জেলা পুলিশকে ভেঙে দুটি পুলিশ জেলা করা হয়েছে -কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট
১০)কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার SP এর নাম কি?
-শ্রী জাফর আজমল কিদোয়াই, IPS
১১) রানাঘাট পুলিশ জেলার SP এর নাম কি?
-V.S.R Ananth Nag , IPS
১২) নদীয়া জেলার DM এর নাম কি?
- Shri Vibhu Goyel, IAS
১৩) নদীয়া জেলার মহকুমা কয়টি?
-নদীয়া জেলার বর্তমানে চারটি মহাকুমা আছে
প্রথমত কৃষ্ণনগর বা সদর মহকুমা জেলার প্রশাসনিক মহকুমা শহর
দ্বিতীয়তঃ রানাঘাট মহকুমা রেলের জংশন মহকুমা শহর
তৃতীয়তঃ কল্যাণী মহাকুমা সবচাইতে আধুনিক মহকুমা শহর
চতুর্থত তেহট্ট মহকুমা হলো জেলার একমাত্র গ্রামীণ মহকুমা
১৪) নদীয়া জেলার জনসংখ্যা কত?
-৫১,৬৮,৪৮৮
-জনঘনত্ব ১৩০০/বর্গ কিলোমিটার,৩৪০০/বর্গমাইল
১৫) নদীয়া জেলার সাক্ষরতার হার-
-৭৫.৫৮%
১৬) নদীয়া জেলার লিঙ্গানুপাত-
-৯৪৭
১৭) নদীয়া জেলার প্রধান মহাসড়ক
-জাতীয় সড়ক ৩৪
১৮) নদিয়া জেলার নদনদী
নদিয়া জেলার প্রধান নদনদীগুলি হল ভাগীরথী, জলঙ্গী, ভৈরব, চূর্ণী, মাথাভাঙা ও ইছামতী ইত্যাদি।
এই জেলায় ভাগীরথীর দৈর্ঘ্য ১৮৭ কিলোমিটার।
১৯) নদিয়া জেলার অর্থনীতি মূলত কিসের উপর ভিত্তি করে রয়েছে?
নদিয়া মূলত একটি কৃষিপ্রধান জেলা। স্বাধীনতার পর বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে কল্যাণী নগরীকে কেন্দ্র করে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে এই জেলায়। এছাড়া ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পেও এই জেলার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
২০) নদীয়াজেলা কে প্রতিষ্ঠা করেন?
-রাজা বল্লাল সেন নদিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।
২১) নদীয়া জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো কি কি?
-মায়াপুরে সেন রাজা বল্লাল সেনের স্মৃতি সম্বলিত বল্লাল ঢিবি বর্তমান। কথিত আছে এই ঢিবির নিচে বল্লাল সেনের আমলে নির্মিত প্রাসাদ ছিল।
*এখানকার বামুনপুকুর বাজারে চৈতন্য মহাপ্রভুর সমকালীন নবদ্বীপ শাসক চাঁদ কাজীর সমাধি আছে।
*পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মন্দির তৈরি হচ্ছে নদীয়া জেলার মায়াপুরের ইসকন মন্দির চত্বরে। 2022 সালে সেই মন্দিরের উদ্বোধন
২২) নদীয়া জেলার পর্যটন স্পট-
-বেথুয়াডহরি অরণ্য, ইস্কন ক্যাম্প, শ্যাম চাঁদ মন্দির, রাজ রাজেশ্বর মন্দির, পলাশী ইত্যাদি।
২৩) নদীয়া জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
*কবি কৃত্তিবাস ওঝা- রামায়নের প্রাচীন অনুবাদক ও কবি ।
*শ্রী চৈতন্যদেব (১৪৮৬-১৫৩৩) মহাপুরুষ সমাজসংস্কারক, বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক।
*কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ (জন্ম আনু. ১৬০০-১৬১০) নবদ্বীপের এক খ্যাতনামা তন্ত্র তথা কালীসাধক যিনি দক্ষিণাকালীর রূপকল্পনা করে বাংলার ঘরে ঘরে কালী পূজার প্রচলন করেন।
*রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ (জন্ম: ১৭৮৬ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৮৪৫) একজন আভিধানিক ও পণ্ডিত। তিনি ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাভাষায় প্রথম অভিধান বঙ্গভাষাভিধান রচনা করেন। তিনি ব্রাহ্মসমাজের সাথে যুক্ত ছিলেন।
তারাশঙ্কর তর্করত্ন (?-১৮৫৮) ছিলেন উনিশ শতকের একজন লেখক যিনি কলকাতার সংস্কৃত কলেজের কৃতী ছাত্র ছিলেন।
*মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭-১৮৫৮) ভারতীয় উপমহাদেশের ঊনবিংশ শতাব্দীয় অন্যতম পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব যিনি বাংলার নবজাগরণের অন্যতম অগ্রদূত হিসাবেও পরিগণিত।
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী (১৮৪১-১৮৯৯), ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম আচার্য।
*অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় (১৮৬১ – ১৯৩০), ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক। জন্মস্থান সিমলা।
*দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৮৬৩-১৯১৩) প্রখ্যাত কবি ও নাট্যকার।
*হরিদাস দে (১৯০২ - ২৪ মে, ১৯৭৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
*চঞ্চল কুমার মজুমদার (১৯৩৮-২০০০) - বিখ্যাত বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী, মজুমদার-ঘোষ মডেলের উদ্ভাবক।
*বিশ্বনাথ সর্দার - নীলবিদ্রোহের অন্যতম প্রধান নেতা ও শহীদ।
*বসন্ত বিশ্বাস- অগ্নিযুগের বিপ্লবী কিশোর ও শহীদ
*প্রমোদরঞ্জন সেনগুপ্ত - স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।
*বীণা দাস - অগ্নিযুগের বিপ্লবী ও রাজনীতিবিদ
*নির্মলনলিনী ঘোষ - নদিয়া জেলার প্রথম মহিলা সত্যাগ্রহী
*করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় - খ্যাতনামা কবি
*চার্লস জিমেলিন - প্রথম পদকজয়ী ব্রিটিশ অলিম্পিয়ান
*যতীন্দ্রমোহন বাগচী - খ্যাতনামা কবি
*হেমচন্দ্র বাগচী - খ্যাতনামা কবি
*মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক-কবি, সাংবাদিক
*সরলাবালা সরকার - সাহিত্যিক
*গোপাল ভাঁড়-রম্য গল্পকার ভাঁড় ও মনোরঞ্জনকারী
*লালন-সাধক, গায়ক, গীতিকার, সুরকার, বাউল-দার্শনিক
২৪) নদিয়া জেলা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য
*নদীয়া জেলার উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গেছে
*নদীয়া জেলার অভয়ারণ্যের নাম বেথুয়াডহরী
*রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কে বাংলার বিক্রমাদিত্য বলা হয়
*নদীয়া জেলার দুটি বিখ্যাত কুটির শিল্প হলো কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প এবং শান্তিপুরের তাঁত শিল্প
*নবদ্বীপ কথার অর্থ হল নতুন পলী গঠিত দ্বীপ
২৫) নদীয়া জেলার যানবাহন কোড সংখ্যা কত?
WB51, WB52
মুর্শিদাবাদ জেলা
মুর্শিদাবাদ জেলা পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা বিভাগের একটি জেলা। মুর্শিদাবাদ ভারতের নবমতম (ভারতের ৬৪১টি জেলার মধ্যে) জনবহুল জেলা।
১) মুর্শিদাবাদ জেলার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
-বহরমপুর
২) মুর্শিদাবাদ জেলায় কয়টি লোকসভা এবং বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে?
-লোকসভা কেন্দ্র ৩টি -জঙ্গিপুর ,বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
বিধানসভা কেন্দ্র ২২ টি
ফরাক্কা, সামসেরগঞ্জ, সুতি, জঙ্গীপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘী, লালাগোলা, ভগবানগোলা, রানিনগর, মুর্শিদাবাদ, নবগ্রাম, খরগ্রাম, বাড়ওয়ান, কান্দি, ভরতপুর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল, জলঙ্গি,রেজিনগর
৩) মুর্শিদাবাদ জেলায় কয়টি পৌরসভা আছে?
মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮ টি পৌরসভা আছেঃ
১. বহরমপুর
২. কান্দী
৩. মুর্শিদাবাদ
৪. জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
৫. জঙ্গীপুর
৬. ধুলিয়ান
৭. বেলডাঙা
৮. ডোমকল
৪) মুর্শিদাবাদ জেলা কয়টি মহকুমা নিয়ে গঠিত?
-মুর্শিদাবাদ জেলা পাঁচটি মহকুমা নিয়ে গঠিত।
পৌরসভা এলাকা বাদে প্রতিটি মহকুমায় একাধিক সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক রয়েছে।
◻ বহরমপুর সদর মহকুমা
বহরমপুর ও বেলডাঙ্গা পৌরসভা এবং বহরমপুর, বেলডাঙ্গা- ১, বেলডাঙ্গা- ২, হরিহরপাড়া ও নওদা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।
◻ ডোমকল মহকুমা
ডোমকল পৌরসভা এবং ডোমকল, রানিনগর- ১, রানিনগর- ২ ও জলঙ্গী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।
◻ লালবাগ মহকুমা
মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভা এবং মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা- ১, ভগবানগোলা- ২, লালগোলা ও নবগ্রাম সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।
◻ কান্দি মহকুমা
কান্দি পৌরসভা এবং কান্দি, খড়গ্রাম, বড়ঞা, ভরতপুর- ১ ও ভারতপুর- ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।
◻ জঙ্গীপুর মহকুমা
জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পৌরসভা এবং সাগরদিঘী রঘুনাথগঞ্জ-১, রঘুনাথগঞ্জ- ২, সুতি- ১, সুতি-২, সামশেরগঞ্জ ও ফারাক্কা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।
৫) মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন
-মুর্শিদাবাদ জেলা কে দুটি পুলিশ জেলায় ভাঙ্গা হয়েছে-একটি মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলা, অন্যটি জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা।
*মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সদর দপ্তর হচ্ছে বহরমপুর
*জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সদর দপ্তর রঘুনাথগঞ্জ
৬)মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার SP
-শ্রী অজিত সিং যাদব, IPS
৭)জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার SP
-Shri.Y.Raghuvanshi, IPS
৮) মুর্শিদাবাদ জেলার DM
-শ্রি জগদিশ প্রসাদ মিনা, IAS
জেনে রাখা দরকার:
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার তত্ত্বাবধানে একটি অ্যাপ লঞ্চ করা হয়েছে যার নাম "আলোর পথে"
৯) মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশি প্রশাসনিক সার্কেল ও থানাঃ
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ পাঁচটি সার্কেলে বিভক্ত। প্রতিটি সার্কেল আবার কয়েকটি করে থানা নিয়ে গঠিত।
মুর্শিদাবাদ জেলায় ২৯টি থানা আছেঃ
◻ বহরমপুর সদর সার্কেল
বহরমপুর মহিলা থানা, বহরমপুর, বেলডাঙা, রেজিনগর, হরিহরপাড়া, নওদা, দৌলতাবাদ ও শক্তিপুর থানা নিয়ে গঠিত।
◻ লালবাগ সার্কেল
মুর্শিদাবাদ, লালগোলা, জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা, রানীতলা ও নবগ্রাম থানা নিয়ে গঠিত।
◻ কান্দি সার্কেল
কান্দি, বড়ঞা, খড়গ্রাম, ভরতপুর ও সালার থানা নিয়ে গঠিত।
◻ জঙ্গীপুর সার্কেল
জঙ্গিপুর মহিলা থানা, সাগরদিঘী, রঘুনাথগঞ্জ, সূতি, সামসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা থানা নিয়ে গঠিত।
◻ ডোমকল সার্কেল
ডোমকল, জলঙ্গী, ইসলামপুর ও রাণীনগর থানা নিয়ে গঠিত।
১০) মুর্শিদাবাদ জেলার জনসংখ্যা-
জনসংখ্যা (২০১১) :৭১,০৩,৮০৭
• জনঘনত্ব
১,৩৩৪/বর্গকিমি (৩,৪৬০/বর্গমাইল)
• ক্রম
৯ম (ভারত)
১১) মুর্শিদাবাদ জেলার সাক্ষরতা
-৬৬.৫৯%
১২) লিঙ্গানুপাত-
৯৫৮
১৩) মুর্শিদাবাদ জেলার যানবাহনের কোড সংখ্যা কত?
- WB 57, WB 58
১৪)মুর্শিদাবাদ জেলার প্রধান মহাসড়ক
-জাতীয় সড়ক ৩৪
১৫) মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যটন স্থল
- হাজারদূয়ারি রাজপ্রাসাদ (হাজারদুয়ার সম্বন্ধিত তাই নাম হাজারদুয়ারি ।হাজারদুয়ারির কিছু দুয়ার নকল 900 টি আসল), হাজারদূয়ারি মিউজিয়াম, মদীনা, বাচ্চাওয়ালী তোপ, কাটরা মসজিদ, মোতিঝিল, মুর্শিদাবাদ জেলা যাদুঘর ইত্যাদি।
১৬)মুর্শিদাবাদ জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
*নবাব সিরাজউদ্দৌলা
*রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট বাঙ্গালী
ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ।
*মণীশ ঘটক, সাহিত্যিক
*রেজাউল করিম, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
*সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, বিখ্যাত সাহিত্যিক।
*ফটিক চৌধুরী, (১২৭৭ - ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) খ্যাতনামা কীর্তন-গায়ক।
*অরিজিৎ সিং, বিখ্যাত গায়ক।( মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ)
*শ্রেয়া ঘোষাল, বিখ্যাত গায়িকা।(মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর)
*মীর, রেডিও জকি, উপস্থাপক, অভিনেতা।
*রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক।
*গোবিন্দদাস, বাংলা বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্য এর একজন বিখ্যাত পদকর্তা।
*অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রাজনীতিবিদ।
*নবারুণ ভট্টাচার্য, লেখক।
*শরচ্চন্দ্র পণ্ডিত, সাংবাদিক, সাহিত্যিক
*ত্রিদিব চৌধুরী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ
*আবুল বাশার, প্রখ্যাত সাহিত্যিক
১৭) মুর্শিদাবাদ জেলার নামের অর্থ কি?
-বাংলা নবাব মুর্শিদকুলি খানের নাম অনুসারে মুর্শিদাবাদ শহর এবং জেলার নামকরণ হয়েছে।এটি নবাবি আমলে বাংলার( বর্তমানে বিহার ঝাড়খন্ড ওড়িশা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ) প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল।
১৮) মুর্শিদাবাদ জেলার উল্লেখযোগ্য নদ নদী কি কি?
-গঙ্গা নদী, পদ্মা নদী ,ভাগীরথী নদী ,দ্বারকা নদ, ময়ূরাক্ষী নদী ,জলঙ্গি নদী, ভৈরব নদী
১৯) মুর্শিদাবাদ জেলার গুরুত্ব
মুর্শিদাবাদ জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত এবং রাজ্যের ১৮তম জেলা। এটি বাংলার শেষ রাজধানী হিসেবে দাবী রাখে। এটি পলাশীর যুদ্ধের জন্য বিখ্যাত যা নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রবার্ট ক্লাইভের মধ্যে ঘটেছিল। এছাড়াও এই জেলা বিশেষ আম উৎপাদনের জন্য জনপ্রিয়, যেমন শাহদুল্লাহ, রানী পসন্দ্, বেগম পসন্দ্, মুলায়ম জাম, শারাঙ্গা এবং কোহিতুর