WBP Interview part-7
পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক গঠন
১) বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ কয়টি বিভাগ এবং কয়টি জেলায় বিভক্ত?
-5 টি বিভাগ এবং 23 টি জেলা
২) বিভাগগুলির শাসন দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত থাকে?
-বিভাগীয় কমিশনার
৩) জেলাগুলির শাসনভার কার ওপর ন্যস্ত থাকে?
-জেলাশাসক (তিনি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট নামে পরিচিত)
*জেলাশাসক IAS বা WBCS ক্যাডারের আধিকারিক হন
৪) জেলাশাসক কে নিয়োগ করেন কে?
-পশ্চিমবঙ্গ সরকার
৫) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোনটি?
-কলকাতা
৬) জেলাগুলি কত প্রকার ভাগে বিভক্ত?
-দুই ভাগে বিভক্ত। মহাকুমা এবং ব্লক
৭) মহাকুমার শাসনভার কার উপর ন্যস্ত থাকে?
-মহকুমার শাসক বা সাব ডিভিশনাল অফিসার (SDO)
৮) ব্লকের শাসনভার কার উপর ন্যস্ত থাকে?
- ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার ( BDO)
৯) পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কিরূপ?
-ত্রিস্তরীয়
*গ্রাম স্তরে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গ্রাম পঞ্চায়েত
*ব্লক স্তরে পঞ্চায়েত সমিতি
*জেলাস্তরে জেলা পরিষদ
১০) গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতৃত্বভার কার ওপর ন্যস্ত থাকে?
-পঞ্চায়েত প্রধানের উপর
১১) পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান কে কি বলা হয়?
-সভাধিপতি
১২) জেলা পরিষদের প্রধান কে?
-জেলা সভাধিপতি
১৩) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের প্রতিটি জেলার দায়িত্বে কে থাকেন?
-জেলা পুলিশ সুপার(IPS)
১৪) মহাকুমা পুলিশের দায়িত্বে কে থাকেন?
- সহ পুলিশ সুপারের মর্যাদাসম্পন্ন কোন পুলিশ অফিসার
*মহাকুমা পুলিশের অধীনে থাকে একাধিক পুলিশ কেন্দ্র
১৫) পুলিশ কেন্দ্রের দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত থাকে?
-পুলিশ ইন্সপেক্টরের হাতে
*পুলিশ কেন্দ্রগুলি একাধিক থানা নিয়ে গঠিত
১৬) প্রতিটি থানার দায়িত্বে কে থাকেন?
-প্রতিটি থানার দায়িত্বে থাকেন একজন করে পুলিশ ইন্সপেক্টর (শহরাঞ্চল) ও সাব-ইন্সপেক্টর (গ্রামাঞ্চল)
১৭)বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের 23 টি জেলার 5টি বিভাগে বিভক্ত
-বর্ধমান বিভাগ, মালদা বিভাগ, জলপাইগুড়ি বিভাগ, প্রেসিডেন্সি বিভাগ, মেদিনীপুর বিভাগ
বর্ধমান বিভাগ- পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, হুগলি
মালদা বিভাগ- উত্তর দিনাজপুর ,দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ
জলপাইগুড়ি বিভাগ-আলিপুরদুয়ার ,কালিম্পং, কোচবিহার ,জলপাইগুড়ি ,দার্জিলিং
প্রেসিডেন্সি বিভাগ- উত্তর 24 পরগনা ,দক্ষিণ 24 পরগনা ,কলকাতা ,হাওড়া,নদীয়া
মেদিনীপুর বিভাগ- পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ,বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম
পশ্চিমবঙ্গের ভূগোল
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে তিনটি রাষ্ট্র নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ এবং পাঁচটি ভারতীয় রাজ্য সিকিম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও অসম অবস্থিত।
রাজ্যের উত্তরে সিকিম ও ভুটান
উত্তর-পশ্চিমে নেপাল
পশ্চিমে বিহার ও ঝাড়খণ্ড
দক্ষিণ-পশ্চিমে ওড়িশা
দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর
এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও অসম অবস্থিত।
পশ্চিমবঙ্গই ভারতের একমাত্র রাজ্য যার উত্তরে হিমালয় ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এই দুইয়ের মধ্যে পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে গঙ্গা রাজ্যে প্রবেশ করে পদ্মা নাম ধারণ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
গঙ্গার উত্তরে অবস্থিত জেলাগুলি--দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর , মালদহও কালিম্পং জেলা।
একসঙ্গে উত্তরবঙ্গ নামে পরিচিত।
*উত্তরবঙ্গ তিনটি প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত। যথা, দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গ সমভূমি।
* শিলিগুড়ি করিডর (যা ‘চিকেনস নেক’ নামেও পরিচিত) উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ রক্ষা করছে।
গঙ্গার দক্ষিণে অবস্থিত জেলাগুলি হল: বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্বমেদিনীপুর,
ঝাড়গ্রাম ,হুগলি, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। এই অঞ্চলটি দক্ষিণবঙ্গ নামে পরিচিত।
* দক্ষিণবঙ্গ পাঁচটি প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত। যথা, রাঢ় অঞ্চল, পশ্চিমের মালভূমি ও উচ্চভূমি অঞ্চল, উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল, সুন্দরবন ও গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল।
*রাজ্যের রাজধানী কলকাতা কলকাতা জেলা নিয়ে গঠিত।
*১৯৭০-এর দশকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি ভারত ও বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রই নিজের বলে দাবি করে থাকে।
No comments:
Post a Comment