Wednesday, July 1, 2020

WBP Interview class-13 পশ্চিমবঙ্গের জেলা পরিচিতি




WBP Interview class-13
পশ্চিমবঙ্গের জেলা পরিচিতি

উত্তর 24 পরগনা জেলা

১) উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা ভারত এর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের উত্তরপূর্ব দিকের একটি জেলা। জেলাটি প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।


২) উত্তর 24 পরগনা জেলার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?

-বারাসাত


৪) এই জেলা কত সালে তৈরি হয়েছে?

-১৯৮৩ সালে ডক্টর অশোক মিত্রের প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি এই জেলাকে বিভাজনের সুপারিশ করেন। 1986 সালের ১লা মার্চ 24 পরগনা জেলা থেকে দ্বিখন্ডিত করে ওই জেলার উত্তরাংশ নিয়ে উত্তর 24 পরগনা জেলা স্থাপন করা হয়।

৫) এই জেলায় কয়টি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে?

-লোকসভা কেন্দ্র 5 টি(১. বনগাঁ, ২. ব্যারাকপুর, ৩. দমদম, ৪. বারাসত, ৫. বসিরহাট )

বিধানসভা আসন 33 টি

১. বাগদা, ২. বনগাঁ উত্তর, ৩. বনগাঁ দক্ষিণ, ৪. গাইঘাটা, ৫. স্বরূপনগর, ৬. বাদুড়িয়া, ৭. হাবড়া, ৮. অশোকনগর, ৯. আমডাঙা, ১০. বীজপুর, ১১. নৈহাটি, ১২. ভাটপাড়া, ১৩. জগদ্দল, ১৪. নোয়াপাড়া, ১৫. ব্যারাকপুর, ১৬. খড়দহ, ১৭. দমদম উত্তর, ১৮. পানিহাটি, 19. কামারহাটি, ২০. বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র, ২১. দমদম, ২২. রাজারহাট নিউটাউন, ২৩. বরানগর, ২৪. রাজারহাট গোপালপুর, ২৫. মধ্যমগ্রাম, ২৬. বারাসত, ২৭. দেগঙ্গা, ২৮. হাড়োয়া, ২৯. মিনাখাঁ, ৩০. শন্দেশখালি, ৩১. বসিরহাট দক্ষিণ, ৩২. বসিরহাট উত্তর, ৩৩. হিঙ্গলগঞ্জ


৬) উত্তর 24 পরগনা জেলার মহকুমা সংখ্যা কয়টি?

-পাঁচটি-  ব্যারাকপুর মহাকুমা ,বারাসাত সদর মহকুমা, বনগাঁ মহাকুমা ,বসিরহাট মহকুমা ,বিধান নগর মহকুমা
৭) উত্তর 24 পরগনা পুলিশ প্রশাসন

-মোট পাঁচটি ভাগে বিভক্ত

** ব্যারাকপুর PC

-CP মনোজ কুমার বর্মা, IPS

ব্যারাকপুর PC এর অধীনে -জেনারেল পুলিশ স্টেশন 15 টি ,WOMEN পুলিশ স্টেশন 1টি এবং CYBER পুলিশ স্টেশন 1টি


**বিধান নগর PC

-CP লক্ষী নারায়ান মিনা, IPS

বিধান নগর PC এর অধীনে- জেনারেল পুলিশ স্টেশন 13 টি, WOMEN পুলিশ স্টেশন 1টি এবং CYBER পুলিশ স্টেশন 1টি

**বসিরহাট PD

-SP কংকর প্রসাদ বারুই, IPS

বসিরহাট PD এর অধীনে- জেনারেল পুলিশ স্টেশন 10 টি, COASTAL পুলিশ স্টেশন 1টি এবং CYBER পুলিশ স্টেশন 1টি


**বারাসাত PD

-SP অভিজিৎ ব্যানার্জি, IPS

বারাসাত PD এর অধীনে- জেনারেল পুলিশ স্টেশন 9 টি, WOMEN পুলিশ স্টেশন 1টি এবং CYBER পুলিশ স্টেশন 1টি


**বনগাঁ PD

-SP তরুণ হালদার, IPS

বনগাঁ PD এর অধীনে- জেনারেল পুলিশ স্টেশন 15 টি, WOMEN পুলিশ স্টেশন 1টি

৮) উত্তর 24 পরগনা জেলার DM এর নাম কি?

-শ্রীমতি চৈতালী চক্রবর্তী , WBCS


৯) এই জেলায় যানবাহনের কোড সংখ্যা কত?

-WB 22

১০) এই জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান গুলো কি কি?

-উত্তর 24 পরগনা জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবন অরণ্য। এছাড়াও রয়েছে বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য , যা পারমাদান বন নামেও পরিচিত।   চাকলা (লোকনাথ বাবার ধাম)

*টাকি- টাকি হল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। এটি ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত। টাকি ইছামতি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এবং নদীর পূর্ব তীরে বাংলাদেশ।

*দক্ষিণেশ্বর

দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি কলকাতার অদূরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত একটি কালীমন্দির। এটি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কামারহাটি শহরের অন্তঃপাতী দক্ষিণেশ্বরে অবস্থিত। ১৮৫৫ সালে প্রসিদ্ধ মানবদরদি জমিদার রানি রাসমণি এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন।এই মন্দিরে দেবী কালীকে "ভবতারিণী" নামে পূজা করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট যোগী রামকৃষ্ণ পরমহংস এই মন্দিরে কালীসাধনা করতেন।


১১) উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ-

*বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যিক

*সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যক, 
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহোদর

*বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যিক,জন্ম উত্তর 24 পরগনা জেলায় কাঁচরাপাড়া নিকটবর্তী ঘোষপাড়া মুরাতিপুর গ্রামে।বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র টি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন।

*বিমল কর, বাংলা সাহিত্যিক

*রানী রাসমণি -দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠাত্রি এবং রামকৃষ্ণ পরমহংস অন্যতম পৃষ্ঠপোষক।

*তিতুমীর-জন্ম 24 পরগনা বাদুড়িয়া থানার গ্রামে হারদার পুর গ্রাম।জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং তাঁর বিখ্যাত বাঁশের কেল্লার জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন।

*প্রমথনাথ বসু, বাঙালি ভূতত্ত্ববিদ, বিজ্ঞানী

*প্রমথনাথ মিত্র, বিপ্লবী

*তারকনাথ দাস, বিপ্লবী

*অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, অধ্যাপক, গবেষক। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির প্রাক্তন সভাপতি।

*প্রভাস সরকার, বাঙালী বিপ্লবী

*ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যিক, তার রচিত ডমরু-চরিত ও কঙ্কাবতী খুবই বিখ্যাত।

*জিৎ গাঙ্গুলী

*শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

*অভিষেক চ্যাটার্জী

১২) এই জেলার জনগণনা তথ্য দাও

-জনসংখ্যা (২০১১)   ১,০০,০৯,৭৮১

• জনঘনত্ব
২,৪০০/বর্গকিমি (৬,৩০০/বর্গমাইল)

১৩) সাক্ষরতা

- • সাক্ষরতা  ৮৪.০৬ শতাংশ

১৪) লিঙ্গানুপাত

-৯৫৫

১৫) এই জেলার মধ্য দিয়ে কোন সড়ক গিয়েছে?

-NH12,  NH112


১৬) এই জেলার নামের অর্থ কি?

১৭৫৭ সালে বাংলার নবাব মীরজাফর কলকাতার দক্ষিণে কুলপি পর্যন্ত অঞ্চলে ২৪ টি জংলীমহল বা পরগনার জমিদারি সত্ত্ব ভোগ করার অধিকার দেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে। এই ২৪টি পরগনা হল-১। আকবরপুর ২।আমীরপুর ৩।আজিমবাদ ৪।বালিয়া ৫।বাদিরহাটি ৬।বসনধারী ৭।কলিকাতা ৮। দক্ষিণ সাগর ৯।গড় ১০।হাতিয়াগড় ১১।ইখতিয়ারপুর ১২।খাড়িজুড়ি ১৩।খাসপুর ১৪।মেদনমল্ল ১৫।মাগুরা ১৬।মানপুর ১৭।ময়দা ১৮। মুড়াগাছা ১৯। পাইকান ২০।পেচাকুলি ২১।সাতল ২২।শাহনগর ২৩।শাহপুর ২৪।উত্তর পরগনা। সেই থেকে অঞ্চলটির নাম হয় ২৪ পরগণা।

পরবর্তীকালে জেলাটির উত্তরাংশ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা গঠিত হয়।


১৭) এই জেলার উল্লেখযোগ্য নদ নদী কি কি?

-উল্লেখযোগ্য নদী গুলো হলো ইচ্ছামতী, যমুনা ,হুগলি, বিদ্যাধরী


১৮) উত্তর 24 পরগনা জেলার গুরুত্ব

-২৪ পরগণা অঞ্চলটির অস্তিত্বের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে গ্রিক ভুগোলবিদ টলেমির “ট্রিটিজ অন জিওগ্রাফি” গ্রন্থে৷

“মনসামঙ্গল” কাব্যে ২৪টি পরগনা জেলার অনেক জায়গার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।

“চৈতন্যচরিতামৃত” গ্রন্থে ও ২৪টি পরগনা জেলার অনেক জায়গার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।“


১৯) উত্তর 24 পরগনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান

*ব্যারাকপুর

*গঙ্গার তীরবর্তী এই শহরটি সিপাহী বিদ্রোহের কারনে বিখ্যাত।

*বিপ্লবী মঙ্গল পান্ডে প্রথম প্রথম প্রতিবাদী যিনি ব্যারাকপুর থেকে উপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন

*এশিয়ার প্রথম চিড়িয়াখানা হয়েছিল ব্যারাকপুরে। উনিশ শতকে লর্ড ওয়েলেসলি তৈরি চিড়িয়াখানা।

*1800 সাল থেকে ব্যারাকপুর এর গঙ্গাতীরে তৈরি করা শুরু করলেন "ব্যারাকপুর পার্ক"।যে পার্ক টি এখন লাটবাগান বা" মঙ্গল পান্ডে "নামে পরিচিত।

*ব্যারাকপুর এর দর্শনীয় স্থানগুলি হল- গান্ধী মিউজিয়াম, গান্ধী ঘাট, আদ্যাপীঠ মন্দির ,উদয়ন বাটি, হনুমান মন্দির।


*বিধান নগর

পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় এই শহর নির্মাণের মূল পরিকল্পনা করেছিলেন।
এখানে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস কমপ্লেক্স রয়েছে ।
CBI এর অফিস এখানে অবস্থিত।এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি দপ্তর -বিকাশ ভবন, ময়ূখ ভবন ,স্বাস্থ্য ভবন, বিদ্যুৎ ভবন, উন্নয়ণ ভবন ,পূর্ত ভবন
বি
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (সল্টলেক স্টেডিয়াম) বিধান নগরে অবস্থিত।


*বসিরহাট

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী একটি প্রাচীন শহর। 1810 সালে এখানে নীল চাষ শুরু হয়।রাজা রামমোহন রায়ের পরামর্শে এবং আলেকজান্ডার ডাফ এর পরিচালনায় 1832 সালের 14 ই জুন এখানে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্থাপিত হয়।


*বারাসাত

বারাসাত নামের পিছনে অনেক জনশ্রুতি আছে। বারাসাত একটি আরবী শব্দ যার অর্থ হলো পথের শোভা। ওয়ারেন হেস্টিংস পথের দু'ধারে সুদৃশ্যমান প্রচুর গাছ রোপণ করেন।

আবার কথিত আছে প্রখ্যাত মানিক চাঁদ জগৎশেঠের পরিবারের 12 জন সদস্য এখানে বাস করতেন। তার থেকেই বারাসাত নামের উৎপত্তি।
নবাব সিরাজদুল্লাহ 1757 সালে মুর্শিদাবাদ থেকে বারাসাত হয়ে কলকাতা পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করেন এবং সেই রাস্তার নাম দেন কৃষ্ণনগর রোড।
ভারতের প্রথম ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অফিস বারাসাতে ছিল


*বনগাঁ

বনগাঁর আদিনাম বনগ্রাম। ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে 4 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বনগায় রয়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর যা পেট্রোপোল স্থলবন্দর নামে পরিচিত। এর অপর পাড়ে বাংলাদেশের বেনাপোল অবস্থিত।
বনগাঁ শহরের চিরুনি নির্মাণের অনেক কারখানা আছে বহু মানুষ এই শিল্পে নিযুক্ত।



২০) অর্থনীতি

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গঙ্গাতীরবর্তী অঞ্চল কলকাতা উপনগরীর অন্তর্ভুক্ত৷ স্বভাবতই উত্তর শহরতলি শিল্পাঞ্চলটি শিল্প ও চাকুরীবহুল৷ অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ কৃৃষিকাজ ছাড়াও খামার, কুটিরশিল্প, মাছচাষ ইত্যাদি জীবিকার সাথে জড়িত৷









বীরভূম জেলা

১)বীরভূম জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এই জেলার সদর দফতর সিউড়ি শহরে অবস্থিত। বোলপুর, রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া এই জেলার অপর তিনটি প্রধান শহর।

২) বীরভূম জেলার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
-সিউড়ি


৩) এই জেলার পরিচিত নাম কি ছিল?

-বীরভূম কে বলা হয় "রাঙ্গা মাটির দেশ"।

৪)এই জেলা কত সালে তৈরি হয়েছে?

-1787 সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে বীরভূম নামক প্রশাসনিক জেলাটির জন্ম হয়। তার আগে এটি মুর্শিদাবাদ জেলার অংশ ছিল।

৫) এই জেলায় কয়টি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে?

- • লোকসভা কেন্দ্র ২ টি - বীরভূম, বোলপুর

• বিধানসভা আসন১১টি -

সাঁইথিয়া, সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট, নলহাটি, দুবরাজপুর, ময়ূরেশ্বর, মুরারই, লাভপুর, নানুর, হাঁসন


৬) বীরভূম জেলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিভাগ

বীরভূম জেলা তিনটি মহকুমায় বিভক্ত: সিউড়ি সদর, বোলপুর ও রামপুরহাট। সিউড়ি বীরভূমের জেলাসদর। জেলায় মোট ২৩টি থানা, ১৯টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ৬টি পুরসভা ও ১৬৯টি গ্রামপঞ্চায়েত রয়েছে। পুরসভা এলাকা ছাড়াও প্রত্যেকটি মহকুমা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে বিভক্ত; যেগুলি আবার গ্রামীণ অঞ্চল ও সেন্সাস টাউনে বিভক্ত।


৭) বীরভূম জেলার SP এর নাম

-শ্রী শ্যাম সিং


৮) এই জেলার যানবাহনের কোড সংখ্যা কত?

-WB53, WB54

৯) বীরভূম জেলার জনসংখ্যা (২০১১)- মোট
৩৫,০২,৪০৪

জনঘনত্ব
-৭৭০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল)


১০) বীরভূম জেলার সাক্ষরতার হার-

-সাক্ষরতা- ৭০.৬৮%

• লিঙ্গানুপাত
  -৯৫৬


১১) বীরভূম জেলার ঐতিহাসিক স্থানের নাম কি?

-বীরভূম জেলা কয়েকটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও কেন্দ্র। হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান তথা সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ বীরভূম জেলায় অবস্থিত। এই জেলার ফুল্লরা,বক্রেশ্বর, কঙ্কালীতলা, সাঁইথিয়া, ও নলহাটি হিন্দুধর্মের পবিত্র ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম।  শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এই জেলার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান।সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সুসমৃদ্ধ এই জেলায় একাধিক উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ও জয়দেব কেন্দুলির বাউল মেলা সেগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।


১২) বীরভূম জেলার পর্যটন স্থল

শান্তিনিকেতন, ছাতিমতলা, দেহলি, চীনা ভবন, ব্ল্যাক হাউস, শান্তিনিকেতন গৃহ, উত্তরায়ণ, শ্যামলী, উদয়ন, তারাপীঠ, কঙ্কালিতলা, ফুল্লরা মন্দির, দলদলি লেক, নানূর, জয়দেব-কেন্দুলি, বামনী কালিবাড়ি, ভবতারিনী কালিবাড়ি, ডাঙ্গালপাড়া আনন্দপুর সার্বজনীন মাতৃমন্দির, রাধা বল্লভ মন্দির, শনি মন্দির, দামোদর মন্দির, রবীন্দ্রপল্লী কালিবড়ি, রক্ষাকালী মন্দির, কেন্দুয়া দক্ষিণপাড়া কালী মন্দির, শহীদ ভগৎ সিং পার্ক, নলতেশ্বরী মন্দির,  কালিদহ ট্যাঙ্ক, কালেশ্বর শিব মন্দির ইত্যাদি।

বীরভূম জেলার একমাত্র পাহাড়, মামা ভাগ্নে পাহাড় দুবরাজপুর শহরের সন্নিকটে অবস্থিত। বর্তমানে এটি একটি সুপরিচিত পর্যটন স্থল।


১৩) এই জেলার উল্লেখযোগ্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম কি?

-বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

১৪) এই জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের নাম কি?

-বীরভূমে বিশেষত শান্তিনিকেতনে অনেক বিশিষ্ট মানুষ জন্মগ্রহণ বা কর্মজীবন অতিবাহিত করেছেন।নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তাদের মধ্যে অন্যতম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জেলাকে তার বাসস্থানে পরিণত করেন। অজয় নদীর তীরে জয়দেব কেন্দুলিতে কবি জয়দেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নানুরে জন্মগ্রহণ করেন বিশিষ্ট কবি পদাবলীকার চন্ডীদাস।চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রধান পার্ষদ নিত্যানন্দের জন্ম হয়েছিল বীরভূম জেলার একচক্রা গ্রামে।আধুনিক বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (1898- 1971) এই জেলার লাভপুরে জন্মগ্রহণ করেন।


১৫) এই জেলার নামের অর্থ কি?

-"বীরভূম" নামটির সম্ভাব্য উৎস "বীরভূমি" শব্দটি; যার অর্থ "বীরের দেশ"। অন্য একটি মতে, বাগদী রাজা বীর মল্লের নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়েছে।  অপর পক্ষে, সাঁওতালি ভাষায় বীর শব্দের অর্থ বন; অর্থাৎ, বীরভূম শব্দের অপর অর্থ বনভূমি হওয়াও সম্ভব।

১৬) এই জেলার উল্লেখযোগ্য নদ নদী গুলো কি কি?

-বীরভূম জেলায় অসংখ্য নদনদী প্রবাহিত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অজয়, ময়ূরাক্ষী (মোর), কোপাই, বক্রেশ্বর, ব্রাহ্মণী, দ্বারকা, হিংলো, চপলা, বাঁশলই, পাগলা ইত্যাদি।


১৭) বীরভূম জেলার ঐতিহাসিক আন্দোলন সম্পর্কে যা জানো বলো।

-১৮৫৫-৫৬ সালে অবিভক্ত বীরভূমের পশ্চিমাঞ্চলে সংগঠিত সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণে এই আদিবাসী-অধ্যুষিত পশ্চিমাঞ্চলটিকে জেলা থেকে বাদ দেওয়ার আশু প্রয়োজন অনুভূত হয়। তাই বিদ্রোহ দমনের পর কর্তৃপক্ষ জেলাটিকেও ভাগ করে দেন। আজও বীরভূমে এই বিদ্রোহের দুই নায়ক সিধু ও কানুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।


১৮) বীরভূম জেলার অর্থনীতি-

-বীরভূম কুটিরশিল্পের একটি বিশিষ্ট কেন্দ্র। বীরভূমের অন্যতম প্রধান শিল্পগুলি হল কৃষিভিত্তিক শিল্পসমূহ, বস্ত্রবয়ন, কাষ্ঠশিল্প ও চারুশিল্পকলা। শ্রীনিকেতন তার দুগ্ধ ও কাষ্ঠশিল্পের জন্য বিখ্যাত। বস্ত্রবয়ন শিল্প বীরভূমের একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য কুটিরশিল্প। বিশেষত সূতি, স্থানীয় কৃষিজ তসর সিল্ক, পাটের কাজ, বাটিক, কাঁথাস্টিচ, ম্যাকরেম (গিঁটযুক্ত সুতোর কাজ), চামড়া, মৃৎশিল্প ও টেরাকোটা, শোলাশিল্প, কাঠখোদাই, বাঁশশিল্প, ধাতুশিল্প ও বিভিন্ন আদিবাসী শিল্পকলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।জেলায় মোট ৮,৮৮৩টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। প্রধান প্রধান শিল্পগুলি হল সূতি ও রেশমচাষ ও বয়নশিল্প, চাল ও তৈলবীজ মিল, লাক্ষাচাষ, ধাতু ও মৃৎশিল্প।

* বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র  জেলার একমাত্র বৃহৎ শিল্প।









কোচবিহার জেলা

১)কোচবিহার জেলা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। আয়তনের হিসেবে এটি রাজ্যের ত্রয়োদশএবং জনসংখ্যার হিসেবে ষোড়শ বৃহত্তম জেলা।


২) কোচবিহার জেলার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?

-কোচবিহার


৩) কোচবিহার জেলা কত সালে তৈরি হয়েছে?

-১৯৪৯ সালের ২৮ অগস্ট রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ কোচবিহার রাজ্যকে ভারতীয় অধিরাজ্যের হাতে তুলে দেন। এই বছর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কোচবিহার ভারতের কমিশনার শাসিত প্রদেশে পরিণত হয়। ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ২৯০ক ধারা বলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলায় পরিণত হয়।


৪) এই জেলায় কয়টি লোকসভা কেন্দ্র এবং বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে?

-লোকসভা কেন্দ্র ২টি -কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র,জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র

বিধানসভা কেন্দ্র ৯টি  - মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙ্গা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, সিতালকুচি, সীতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ


৫) জেলার প্রশাসনিক বিভাগ

সমগ্র কোচবিহার জেলাকে মোট পাঁচটি মহকুমা ও ১২টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে বিভক্ত করা হয়েছে। জেলায় মোট ৬টি পুরসভা রয়েছে।

*কোচবিহার মহকুমা (কোচবিহার ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক,কোচবিহার ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, কোচবিহার পৌরসভা)

*মেখলিগঞ্জ মহকুমা (মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক,
হলদিবাড়ী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, মেখলিগঞ্জ পৌরসভা
হলদিবাড়ি পৌরসভা)    
  
*মাথাভাঙ্গা মহকুমা (  মাথাভাঙ্গা ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, মাথাভাঙ্গা ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, শীতলকুচি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, মাথাভাঙ্গা  পৌরসভা) 

*তুফানগঞ্জ মহকুমা (তুফানগঞ্জ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক,তুফানগঞ্জ ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, তুফানগঞ্জ পৌরসভা )

*দিনহাটা মহকুমা( দিনহাটা ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক,
দিনহাটা ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক,সিতাই সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ,দিনহাটা পৌরসভা)



৬) এই জেলায় যানবাহনের কোড সংখ্যা কত?

-WB63, WB64


৭) এই জেলার SP এর নাম কি?

-Dr. Santosh Nimbalkar

৮) এই জেলার জনসংখ্যা 2011

-জনসংখ্যা (2011) -2819086

ঘনত্ব 833/বর্গ কিলোমিটার


৯) লিঙ্গানুপাত

-প্রতি 1000 পুরুষে মহিলার সংখ্যা 942

১০) সাক্ষরতা

-74.78%

১১) এই জেলার পর্যটন স্থল

-রাজবাড়ি, মদন মোহন বাড়ি, হেরিটেজ বিল্ডিং, সাগর দীঘি, বড়দেবী বাড়ি, মধুপুর ধাম মন্দির, বানেশ্বর মন্দির, কামতেশ্বরী মন্দির, সিদ্ধান্তনাথ শিব মন্দির, জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপরামারি অরণ্য, বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ, কোচবিহার রেল মিউজিয়াম

১২) এই জেলার নামের অর্থ কি?

-"কোচবিহার" শব্দটির অর্থ "কোচ জাতির বাসস্থান"

১৩) কুচবিহার জেলার নদ নদী

-কোচবিহার জেলার ছয়টি প্রধান নদী হল তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, কালজানি, রায়ডাক ও গদাধর।


১৪) সংস্কৃতি

কোচবিহারের জনপ্রিয় লোকসংঙ্গীত হল ভাওয়াইয়া



১৫) জাতীয় সড়ক


   -৩১ নং জাতীয় সড়ক




No comments:

Post a Comment

Bengali Current Affairs 8th October, 2021

  Bengali Current Affairs 8th October, 2021 1. 2021 সালে সাহিত্যে কে নোবেল পুরস্কার পেতে চলেছেন? [A] অধ্যাপক বেঞ্জামিন লিস্ট [B] অধ্যাপক ...